আস্-সালামু আলাইকুম। সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook এ পাবেন।

Thursday, November 22, 2012

আমিও বাচাল: কিন্তু মিতভাষী হওয়া উচিত

অনর্থক কথা বলা অনেকের মতো আমারও প্রিয় বদঅভ্যাস। নিজের অজান্তেই অহেতুক কথার ফুলজুড়ি দেয়া আমার কাছে অনেকটা স্বাভাবিক মনে হয়। অপ্রয়োজনীয় গল্প জুড়ে দিয়ে সময়ের অপব্যবহার করার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব কমানোর মত কাজ অনেক সময় নিজের অজান্তের করে ফেলি। কিন্তু আমার জানা আছে বেশী কথা বলার অপকারিতাও বেশী। ভুলও হয় বেশী। তারপরেও .......। এটা আমার সবচেয়ে বড় খারাপ অভ্যাস ও স্বভাব বলে মনে করি। কিন্তু বেশী বলা সব কথা গুলোর মধ্যো সব কথা যে অহেতুক তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন নিজের কাছে প্রশ্ন জাগে প্রয়োজনীয় কথাও প্রয়োজনের বেশী বলবো কেন? কারণ আমি জানতে পারলাম পবিত্র আল-কোরাআনেও এই সম্পর্কে বলা আছে- (নিশ্চই মুমিনরা সফল হয়েছে) যারা অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকে (সুরা মুমিনুন)। রাসুল (স:) অনর্থক কথা না বলার নিষেধ করেছেন। গুণাহ হয় এই রকম কথা তিনি মুখ থেকে বের করতেন না। মিশকাত শরীফে বলা আছে- আল্লাহ্ তায়ালা অনর্থক কথা বলা অপচন্দ করেন। একদিন হযরত ওমর (র:) হযরত আবু বকর (র:) এর নিকট উপস্থিত হলেন। তিনি দেখতে পেলেন  হযরত আবু বকর (র:) নিজের জিহ্বা ধরে টানছেন, নিজের জিহ্বাকে মারছেন। আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুন। আবু বকর (র:) বলেন- এই জিহ্বা আমার বহু ক্ষতি করেছে। ফালতু কথা বলেছে। তাই জিহ্বাকে টেনে টেনে সাজা দিচ্ছি। অতএব মোমেনকে অনর্থক কথা বলা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। হয়রত আবু বকর (র:) এর মতো সাহাবী যিনি বেঁচে থাকতে জান্নাতের সার্টিফিকেট পেয়েছন। তিনি পর্যন্ত অনর্থক কথা বলার কারণে জিহ্বাকে শাস্তি দিলেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন। আমার মতো যারা অহেতুক কথা বলে ভুল করে, মানুষের মনে কষ্ঠ দেন সর্বোপরি গুণাহ অর্জন করেন, আমিসহ তাদের সবার সংশোধন হওয়া উচিত। ইনশাল্লাহ্ আমি কম কথা বলতে এখন থেকে চেষ্ঠা শুরু করবো। আমার মনে হচ্ছে এটাই ইহকাল ও পরকালের পথ সফল, সুন্দর ও সুগম করবে। তারপরেও মনে মনে সংকোচ হচ্ছে যে, পুরনো বদঅভ্যাস হওয়াতে আমি যদি পরিবর্তন প্রচেষ্ঠার কথা ভুলে গিয়ে মাঝে মধ্য আবার পূর্বাভ্যাসে প্রত্যবর্তন করে ফেলি। যাইহোক এই ব্যাপারে আমি আল্লাহর সাহায্য চাই। হে আল্লাহ আমার এই বদ অভ্যাস পরিহারে সহায় হোন। সহায় হোন আমার মতো বদ্ অভ্যাসকারীদের হেদায়তে ও সু-পরিবর্তনে।

No comments:

Post a Comment