আস্-সালামু আলাইকুম। সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook এ পাবেন।

Wednesday, January 23, 2013

নারীর পথযাত্রার অপ্রত্যাশিত দূঘর্টনা রোধে সহায়ক প্রযুক্তি আবিষ্কার


কিছু কিছু পুরুষের ধর্মীয় অনুশাসনোর্ধ্ব আচরণ, প্রাশ্চাত্য প্রভাবিত স্যাটেলাইট অনুকরণ, পারিবারিক, সামাজিক, দলীয় তথা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাব এবং নারীদের উলঙ্গপনা, সবত্র-সদা যৌন লালসা উৎপাদক সাজগোজ পোশাক পরিধানের মনোভাব তথা মডার্ন নামে স্যাটেলাইট প্রথা পিয়াসী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে কতোই অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা। নারীরা হারাচ্ছে তাদের অমূল্য সম্ভ্রম, পুরুষরা হারাচ্ছে ভবিষৎ। আমার মতে এই জন্য নারী পুরুষ কেউই দোষমুক্ত নয়। উভয়ের অস্বাভাবিক আচার-আচরণের তথা স্বভাবের কারণের স্বমন্বয়ে সংগঠিত হয় অপ্রীতিকর ঘটনা। এক জন পুরুষের চাহুনীতে যদি লালসার দৃষ্টিক্ষুধা প্রত্যক্ষ না হতো তাহলে একজন নারী দৃষ্টিক্ষুধার উপাদেয় উপকরণ হয়ে নিজেকে উপস্থাপিত করার সুযেগ পেতো না। তেমনি একজন নারী যদি তার উদ্গট সাজগোজ, লালসা প্রদায়ক পোশাক-পরিচ্ছদ, যৌনতা উৎপাদক ... উপস্থাপনে অভ্যস্ত না হতো তাহলে পুরুষের অস্বাভাবিক চাহুনীও থাকতো না। উভয়ের ত্রুটি স্বমন্বয়ের কারণে আপত্তিকর ঘটনা সংগঠিত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমাজ পুরুষদের দোসকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বহুকামী এসব নারী-পুরুষের পাশাপাশি সমাজে চরিত্রবান নারী-পুরুষের সংখ্যাও কম নয়। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে চরিত্রবানরাও মুখোমুখি হয় অপ্রত্যাশিত ঘটনার। বোনের অনিরাপদ পথচলাকে স্বাভাবিক করতে তথা সমগ্র নারীদের নিরাপদ পথচলার সহায়ক হতে সম্প্রতি ভারতের রাঝধানী নয়াদিল্লির গোয়েনাকো স্কুলের ছাত্র মানু চোপড়া (১৬) ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের একটি জাতীয় প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে টানা ০৬ (ছয়) দিনে একটি নিরাপত্তা যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছন। ঘড়ির মতো দেখতে এই যন্ত্রটি পরিধানকারী নারীদের  নিরাপত্তা প্রহরী হিসাবে কাজ করবে। উক্ত যন্ত্রটি পরিধান করা অবস্থায় যদি কোন নারী অপ্রিতীকর ঘটনার মুখোমুখি হয়ে তার নাড়ি উঠানামা ও স্নায়ুচাপ বেড়ে যাবে তখন এই যন্ত্রটি সক্রীয় হবে। হামলাকারীর স্পর্শ পাওয়া মাত্র এই যন্ত্রটি হামলাকারীকে বৈদ্যুতিক শক্ দেবে এবং হামলাকারীর ছবি তুলে রাখবে। ১২২ রুপিতে এই যন্ত্রটি বাজারজাত করা যাবে বলে মানু জানিয়েছন। তবে বাজারজাত করার আগে ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডশন আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। আমার মতে শুধু এই ধরনের নয়, সব ধরনের অস্বাভাবিক ও অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে খোদাভীতির মতো বড় যন্ত্র পৃথিবীতে আর নেই। আসুন আমরা সবাই এই যন্ত্রটাতে মনের ভেতরে স্থাপন করি।

No comments:

Post a Comment