আস্-সালামু আলাইকুম। সম্মানিত দর্শক আপনাকে স্বাগতম। আমাকে Facebook এ পাবেন।

Saturday, March 9, 2013

জুমাআর নামাজ


দী ইসলাম একতাকে পছন্দ করে মানুষকে একতার প্রতি আহ্বান করে বিচ্ছিন্নতা ইখতেলাফকে ঘৃণা অপছন্দ করে তাই ইসলাম মুসলমানদের পারস্পরিক পরিচিতি, প্রেমপ্রীতি একতার এমন কোন ক্ষেত্র বাদ রাখেনি যার প্রতি আহ্বান করেনি জুমআর দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন তারা সেদিন আল্লাহর স্মরণ গুণকীর্তনে সচেষ্ট হয় এবং দুনিয়াবী কাজ-কর্ম ব্যস্ততা পরিত্যাগ করে আল্লাহ প্রদত্ত অপরিহার্য বিধান ফরয নামাজ আদায় করার জন্য এবং
সাপ্তাহিক দারস তথা জুমআর খুতবা -যার মাধ্যমে খতীব আলিমগণ কল্যাণমুখী জীবনযাপনের পন্থা পদ্ধতি বয়ান করে থাকেন, সমাজের নানা সমস্যা তুলে ধরে ইসলামের দৃষ্টিতে তার সমাধান কী তা উপস্থাপন করেনশোনার জন্য আল্লাহর ঘর মসজিদে জমায়েত হয়
আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ) الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ * فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
(
অর্থ: “হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের আযান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচা-কেনা বন্ধ কর, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও (সূরা জুমআ, আয়াত: -১০)
জুমআ প্রতিটি মুক্বীম (বাড়ীতে অবস্থানকারী), আযাদ (স্বাধীন). বালিগ (প্রাপ্ত বয়স্ক) মুসলমানের উপর ওয়াজিব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত জুমআর নামাজ আদায় করেছেন এবং তিনি জুমআ পরিত্যাগকারী সম্পর্কে কঠোর উক্তি পেশ করে বলেছেন:
لَيَنتَهِيَنَّ أَقْوامٌ عَنْ وَدْعِهِمْ الجمعاتِ أو لَيختُمَنَّ الله على قُلوبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُونَنَّ من الغافِلِينَ (مسلم).
অর্থ: “যারা জুমআ পরিত্যাগ করে তাদের অবশ্যই ক্ষান্ত হওয়া উচিত, অন্যথায় আল্লাহ নিশ্চয় তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। ফলে তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হবে নিশ্চিতরূপেই (মুসলিম)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন:
مَنْ تَرَكَ ثلاثَ جَمَعٍ تَهَاوَناً طَبَعَ الله عَلى قَلْبِهِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুম্আ পরিত্যাগ করবে আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন
জুমআর নামাজ দুই রাকাত। জুমআর ইমামের পিছনে একতেদা করে জুমআর দুরাকাত নামাজ আদায় করতে হবে।
জুমআর নামাজের জন্য জামে মসজিদ হওয়া শর্ত। অর্থাৎ যে মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করা হয়, যেখানে মুসলমানরা একত্রিত হয় এবং তাদের ইমাম তাদেরকে সম্বোধন করে কথা বলেন, নসীহত-উপদেশ দেন, সরল পথ দেখান।
জুম্আর খুতবা চলাকালীন কথা বলা হারাম। এমনকি যদি কেউ তার পাশের ব্যক্তিকে বলে, ‘চুপ থাকতাহলেও সে কথা না বলার বিধান ভঙ্গ করল বলে পরিগণিত হবে

No comments:

Post a Comment