সর্প সম রাগ যে লয়ে কাপে হস্তযুগল।
উপাদানে মম ঠেকাইলে মস্তক মধ্য রজনী লগ্নে,
শোভেনা আখিতে শান্ত নিদ্রা চিত্ত ভাবায় মগ্নে।
রুদ্ধ হয় যে মুক্ত কন্ঠ জননীর কথা স্মরে,
অভাগা আমি পারিনি কল্যান গর্ভধারনীর তরে।
অবনতি আমাকে বেষ্টন করিয়া উপহার দিয়াছে লজ্জা,
প্রশ্চাদ পদতায় অনন্তর লইব চির নিদ্রার
সজ্জা।
কাটাইনু খুজিয়া পরিহরি বিবাদ লভিতে
পাঞ্জেরী,
দহিছে চিত্ত আধার জগতে যায় না অশান্তি ছাড়ি।
গ্রীষ্ম বর্ষা কাটিছে জীবনে শুনিয়া আহাজারি,
কবিতায় মসিয়া জীবনের গাফলত জুলমত
রোনাজারি।
বহিয়া চলি চিত্তের বোঝা রুধিবার চেষ্ঠা
ব্যর্থ,
বুঝিলাম আজি সুখ ও দুখের মুলে রহিয়াছে অর্থ।
উর্ধ্ব পানে ছুটিতে অস্তির ক্ষুরধার নবীন আবেগ,
বিপ্লবাভিযানে ব্যর্থ হইলাম লয়েও যৌবন বেগ।
মজিনু মম চিত্ত তাড়নায় খেলিনু বহু খেলা,
ভোরের রবি মোরে পরিহরি সৃজিল সাজের বেলা।
মিত্র ফাদে কন্টক পথে না বুঝে দিয়াছি পাড়ি,
দুধের মাছি দুযোর্গ লগ্নে আমারে গিয়াছে ছাড়ি।
লোকে ভাবে চির সুখী আমি শান্তি ভরা মোর নীড়ে,
সহিতে না পারিয়া হারাইয়া গিয়াছি আমার দুখের ভীড়ে।

No comments:
Post a Comment