আপনাদের মধ্যে কি কেউ মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পচন্দ করেন?- এই রকম প্রশ্নের
জবাবে নিশ্চয় না বোধক উত্তর আসবে বলে আমার ধারণা। যাই হোক মনে করে নিলাম উত্তর হবে
না। যদি তাই হয় তাহলে আমরা না উত্তর দিয়ে কেন প্রতিনিয়ত মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত
সম অপরাধ সংগঠিত করে যাচ্ছি? আর এই জগণ্য অপরাধ আমরা অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে করে
থাকি। এটা হচ্ছে গীবত। গীবত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। গীবত করা খুব
মারাত্মক গুণাহ। মহাগ্রণ্থ আল-কোরআনের সুরা হুজরাতের ১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে-
(অর্থ:) তোমাদের মধে কেউ যেন গীবত না করে । তোমাদের মধ্যে কি এমন কেউ আছে যে মৃত
ভাইয়ের মাংস খেতে পচন্দ করে? তোমরা তা ঘৃণা করে থাক। সুরা নিসার ১৪৮ নং আয়াতে বলা
হয়েছে- (অর্থ:) আল্লাহ মন্দ কথা মুখে আনা পচন্দ করেন না। মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু হুরাইরা (র:) হতে বর্ণিত-একদা নবী করিম (স:) বললেন –তোমরা কি জান গীবত
কাকে বলে? সাহাবীগণ জওয়াবে বললেন- আল্লাহ্ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। হুযুর (স)
বললেন গীবত হলো তুমি তোমার মুসলমান ভাইয়ের মধ্যে যা পাওয়া যায়। তখন সাহাবীরা বললেন
সেক্ষেত্রেও কি গীবত হবে? রাসূল (স:) বললেন- তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে পাওয়া
যায় তা হলে সেটা হবে গীবত। আর যদি পাওয়া না যায় তাহলে হবে বোহতান। বায়হাকী শরীফে
আছে, হযরত আবু সাঈদ কুদুরী (র:) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স:) বলেছের গীবত হলো
ব্যাভিচারের চেয়েও মারাত্মক। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন- হে আল্লাহর রাসূল (স:) গীবত
কি জেনার চেয়েও মারাত্মক হয়? হুযুর (স:) বললেন- কোন ব্যক্তি জেনা করার পর যখন তওবা
করে, আল্লাহ তখন তার তওবা কবুল করেন। কিন্তু গীবত কারীকে যার গীবত করা হয়েছে সে যদি
ক্ষমা না করে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।
আসুন! আমরা এখন থেকে আমাদের মধ্য থেকে এই
দোষকে বিতারিত করার চেষ্ঠা করি। আল্লাহ সকলের সু-প্রচেষ্ঠা কবুল করুন। আমিন।
No comments:
Post a Comment